মানিকছড়িতে জায়গা দখলের চেষ্টা
নিজেস্ব প্রতিবেদক: মানিকছড়ি উপজেলায় আইন শৃংখলার অবনতি ঘটেছে। দুর্নীতি,জবর দখল ও ভূয়া কাগজপত্রে দেখিয়ে জায়গা দখল চেষ্টাসহ মানিকছড়ি উপজেলায় চলছে জোর যার মুল্লাক তার মত অবস্থা। তার পরও ক্ষমতাশীন দলের ছত্র-ছায়ায় থাকা এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। ফলে বাড়ছে অনিয়ম আর নানা সমস্যা।
সম্প্রতি রাঙ্গামাটির কাপ্তাইবাদের ক্ষতিগ্রস্ত প্রজা মৃত্যু ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলেদের জায়গা ভূয়া কাগজপত্র প্রদর্শন করে তিনট্যহরী গুচ্ছগ্রাম ও মাদ্রাসা সংলগ্ন জায়গায় একটি মহল সু-পরিকল্পিতভাবে ঘর নিমার্ণে মাঠে নেমেছে। এক পর্যায়ে তারা মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে দখলের চেষ্টা করে এবং খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে জায়গার মালিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। পরে আজ সোমবার বিচারিক আদালত শুনানিতে দখলের চেষ্টাকারীদের প্রদর্শিত কাগজপত্র ভূয়া প্রমাণিত ভিত্তিহীন অভিযোগের ফলে মামলাটি খারিজ করে দেয়।
এদিকে দখলের চেষ্টাকারীদের প্রদর্শিত কাগজে জায়গার বিক্রয়কারী হিসেবে উল্লেখিত আব্দুর রহিম এ ধরণের কোন কাগজপত্র দেননি বলে জানিয়ে বলেন, আবুল ও আমির হোসেন যোগ সাজশে ফাতেমা বেগমের কোর্টে প্রদর্শিত কাগজপত্র ভূয়া,বানোয়াট বলে তিনি জায়গার মালিকদের কাছে স্বীকার করেন।
এর আগে ঐ জায়গা দখলের চেষ্টায় আবুল নামের এক যুবক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দানকারী মো: আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তির সহযোগিতায় জায়গাটিতে ঘর নির্মাণ করে জায়গাটি অবৈধ ভাবে দখল করে। এবং বর্তমানে মৃত ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলেদের জায়গার উপর থাকা গাছ-পালা কাটছে। বিষয়টি বার বার জানানোর পরও এখনো কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বর্তমানে জায়গাটি নিচের অংশে জমিতে মুক্তিযোদ্ধার সাইন বোর্ড লাগিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে জায়গা দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় পরিকল্পিত সাইন বোর্ড লাগিয়ে ৪০/৫০ জন লোক নিয়ে ঐ জায়গা দখলের চেষ্টা করে। জায়গার মালিক হাই কোর্টের রিটকারী আবু তালেবসহ তার ভাইদের মারধরের জন্য দখলের চেষ্টাকারীরা খোজাখুজি করতে থাকে। গত ৩০ অক্টোবর ২০১৬ হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে বিরোধীয় সম্পত্তির স্থিতি বজায় রাখতে লিখিত আদেশ জারী করে।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা মো: ওয়াহিদুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি উচ্চ আদালতসহ স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন।