নিজস্ব প্রতিবেদক, গুইমারা: গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে মৃত মুক্তিযোদ্ধা লেছ মোহাম্মদ, পিতা মৃত কেরামত আলী বিশ্বাস,গেজেট নং- ১৪১-১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কাল বৈশাখী ঝড়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, মানবেতর জীবন যাপন করছে। ১৯ শে এপ্রিল মধ্যরাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। লাগেনি আর্থিক সহযোগিতার হাত, অসহায় জীবন যাপন, দেখার কেউ নেই।
মৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা ১৯৭১সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মারা যাওয়ার সময় তার ৫জন মেয়ে ও ৪জন ছেলে সন্তার রেখে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার সময় একটি চৌচালা টিনের বসত ঘর রেখে যান। কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রচুর বৃষ্টি পাতের কারনে ঘরটি ভেঙ্গে তচনচ হয়ে যায়। ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর সকাল বেলা ১নং ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে আর্থিক অনুদানের জন্য গেলে তিনি ২নং হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এর নিকট যাওয়ার জন্য বলেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের কাছে গেলে তিনিও বলেন হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে যাওয়ার জন্য। পরক্ষনে আমি বাবু চাইথোয়াই চৌধুরী চেয়ারম্যান এর নিকট আর্থিক অনুদান ও সহযোগিতার জন্য গেলে তিনি বলেন আমার কাছে কোন আর্থিক অনুদান বরাদ্ধ নেই। পূর্বে ঘরটি মেরামত করার জন্য সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার এর নিকট আবেদন করেছিলাম। পরে জেলা পরিষদ বরাবর একটি আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত কোন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা পাইনাই।
সরেজমিনে, আজ শনিবার সকালে উপজেলার জালিয়াপাড়ার মৃত মুক্তিযোদ্ধা লেছ মোহাম্মদ এর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে ঘর-বাড়ি, ঘরের আসবাবপত্র।