নুরুল আলম:: খাগড়ছড়িতে স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যানবাহন মেরামতের জন্য আসা বরাদ্দের পৌনে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার কমিটিকে বাদ দিয়ে গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে থাকাকালীন সিভিল সার্জন (বর্তমানে কক্সবাজারে কর্মরত) ডা: মো: আবদুস সালামের স্বাক্ষরে অফিসের একটি চক্র এঘটনা ঘটায়।
জানা গেছে, গত ৭ জুন ওই সিভিল সার্জনের স্বাক্ষরীত কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কার্যাদেশে ১৫ দিনের মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো, ছ-৭১-১০২৩), উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো-ছ-৭১-০২৯৬), লক্ষীছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স (খাগড়াছড়ি-ছ-৭১-০০০৪) সিভিল সার্জন অফিসের জীপ গাড়ী (ঢাকা মেট্রো-ছ-১১-৪৮৫৯) মেরামত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
খাগড়ছড়ির বর্তমান সিভিল সার্জন ডা: মো: শকওত হোসেন জানান, যানবাহন মেরামতের ব্যয় দেখিয়ে আগের সিভিল সার্জনের স্বাক্ষর জাল করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি সাবেক সিভিল সার্জন (বর্তমানে কক্সবাজারে কর্মরত) ডা: মো: আবদুস সালাম তাকে নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত্র টিম গঠন করা হবে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: জাহেদ হোসেন বর্তমানে ৪৫ দিনের ছুটি নিয়ে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে রযেছেন। তিনি দেশে ফিরে কর্মস্থলে আসলেই কাগজ পত্রাদি যাচাই-বাচাই করে প্রমানিত হলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সবাই মিলে কঠিন প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
ফোনে সিভিল সার্জন ডা: মো: আবদুস সালাম তার স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন, হিসাব রক্ষক প্রিয় রনজন বড়ৃয়া ও রেজাউলসহ কয়েকজন মিলে আমার স্বাক্ষর জাল করে পৌনে ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। বিষয়টি জেনে ২১শে আগষ্ট খাগড়াছড়িতে গিয়েছিলাম হিসাব রক্ষক প্রিয় রনজন বড়ৃয়াকে অফিসে না গেয়ে ফোন করি তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এবং অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় কাগজ পত্র গুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। শীগ্রই সিভিল সার্জন ডা: মো: শকওত হোসেনকে নিয়ে এই দুষ্ট চক্রের জাল-জালিয়াতি করা কাগজ পত্র উদ্ধার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ও দুদকে অভিযোগ করবো।
সিভিল সার্জন কার্যলয়ের হিসাব রক্ষক প্রিয় রনজন বড়ুয়া যানবাহন মেরামতের বিল টেন্ডারের মাধ্যমে প্রদান করেছেন স্বীকার করে জানান, কী ঘটনা ঘটেছে তা আমি জানিনা, সব কিছু জানেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: জাহেদ হোসেন এবং সদর হাসপাতালের রেজাউলসহ অনান্যারা। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।