আবারো উত্তপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম
নুরুল আলম:: আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক হত্যা,অপহরণ ও লাগামহীন চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থনীয়রা।
খাগড়াছড়িতে গৃহবধূ ফাতেমার অপহরণের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবীতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম সময় বেঁধে দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শাস্তির দাবী জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ (পিবিসিপি)। গত ৮ সেপ্টেম্বর গুইমারা বাল্যাছড়ি থেকে চলন্ত বাস থামিয়ে স্বামীর সামনে থেকে গৃহবধু ফাতেমাকে অপহরণ করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও আজ মঙ্গলবার গুইমারার সিন্ধুকছড়ি এলাকায় মোটরসাইকেল চালক ও গুইমারা সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল হত্যাকান্ডের জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী করেছে সংগঠনটি।
এ সময় গৃহবধু ফাতেমাকে অক্ষত উদ্ধার করতে প্রশাসন ব্যর্থ হলে বা তার কোন ক্ষতি হলে পাহাড়ে দূর্বার আন্দোলনের হুশিয়ারী জানানো হয়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ির শাপলা চত্ত্বরে মানববন্ধন থেকে বাঙালী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা এ ঘোষনা দেন। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পিবিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মজিদ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ আসাদ, অপহৃত গৃহবধুর স্বামী নাজমুল প্রমুখ।
বক্তারা, পাহাড়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা একের পর এক অপহরণ,বাঙ্গালী হত্যা বেপরোয়া চাঁদাবাজীসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে বলে অভিযোগ করেন। তাই দ্রুত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ নীরহ মানুষদের গুম, খুন ও হত্যা বন্ধ না হলে তাদের প্রতিরোধে পাহাড়ের বাঙ্গালীরা অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী দেন। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে রবিউলের খুনীদের গ্রেপ্তার ও ফাতেমা বেগমকে অক্ষতাবস্থায় উদ্ধার না হলে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেয়া হবে বলে জানান সংগঠনটি।
এছাড়াও পাহাড়ের পাহাড়ী সন্ত্রাসী শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে একের পর এক হত্যার অংশ হিসেবে গুইমারায় রবিউল নামে এক মোটরসাইকেল চালককে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ করেন। বাঙালী ছেলেকে বিয়ে করায় ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা গত ৮ সেপ্টেম্বর মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়ি এলাকায় বাস থেকে স্বামীর সামনে অস্ত্র ঠেকিয়ে ফাতেমা বেগমকে অপহরণ করে। এখনো তার কোন সন্ধান মিলেনী।