রবিউল আউয়াল হত্যায় ঘোষিত কর্মসূচী পালনে পুলিশী বাঁধার অভিযোগ
নুরুল আলম:: পনের দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ছাত্রদল নেতা রবিউলের খুনীদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হলে লাগাতার অবরোধের হুশিয়ারী দিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া। শুক্রবার দুপুরে শহরের কলাবাগানের মিল্লাত চত্ত্বর এলাকায় গুইমারা সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল আউয়াল হত্যার প্রতিবাদে জেলা বিএনপি ঘোষিত ৩ দিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সভায় তিনি এ হুশিয়ারী জানান।
এ সময় তিনি বলেন, রবিউল হত্যার সাথে জাড়িতদের আটকে কোন ধরণের অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জড়িতদের খুজে বের করতে না পারলে সারাদেশের সাথে খাগড়াছড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। আর লাগাতার অবরোধে বিএনপি নেতাকর্মীদের রোধ করতে পারবেনা বলে জানান। এছাড়াও যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নেতাকর্মী হত্যার সূত্র ধরে কোন ষড়যন্ত্রকারীও যদি বাড়ীতে আগুন দেয় সেই আগুনের খবরেই হত্যাকারীদের বিচারের প্রথম বাঁধা হয়ে দাড়ায়। কারণ খবরে তখন আগুনের সংবাদ প্রকাশিত হয় আর খুনের খবর আগুনে পুড়ে ছাইয়ে চাপা পড়ে যায়।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারীরা যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার এর চেষ্টাসহ পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের সম্প্রতি নষ্ট করতে না পরে সে জন্য সজাগ থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহবান জানান। পাহাড়ে এ হত্যাকান্ডের দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে বলে তিনি জানান। এতে নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে “রবিউল আউয়াল হত্যার ঘটনায়” গুইমারায় উপজেলায় দলের ঘোষিত কর্মসূচী অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সভা ও কালো পতাকা উত্তোলনসহ কর্মসূচী পালনে পুলিশী বাঁধার অভিযোগ করেন।
এ সময় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা,গুইমারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো: ইউসুফ,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল,যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ হোসেন সুমন,গুইমারা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগ,নিহত রবিউল আউয়াল ছোট ভাই কামাল হোসেন প্রমূখ।
এর আগে রবিউল আউয়াল হত্যার ঘটনায় নীরব প্রতিবাদের অংশ সরূপ শোকের প্রতিক কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের অলিগলি থেকে শুরু করে ৯টি উপজেলায়। পরে ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দুপুরে প্রতিবাদ সভা করে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি।