আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পদ্মাসেতু দৃশ্যমান দেখে খালেদা জিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে -ওবায়দুল কাদের

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: পদ্মাসেতু দৃশ্যমান দেখে খালেদা জিয়ার গাত্রদাহ শুরু হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধিনে নয় নির্বাচন কমিশনের অধিনে হবে। বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় ফেনী নদীর উপর ভারত -বাংলাদেশ মৈত্রি সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদশর্ন কালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন তো দূরের কথা পরিকল্পনাও করতে পারেনি বলে খালেদা জিয়ার কড়া সমালোচনা করেন তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার পদ্মাসেতু করছে। তা দেখে খালেদা জিয়া মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

মৈত্রি সেতু নির্মাণকাজ পরিদর্শনের পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবধন শ্রিংলা ফেনী নদীর উপর স্থলবন্দর মৈত্রী সেতু ১ নির্মিতব্য ব্রীজ পরিদর্শন শেষে রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন। সফর সঙ্গীদের মধ্যে ভারতীয় দূতাবেসের দুইজন উর্ধতন কর্মকর্তা, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা, সড়ক ও সেতু বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও জেলা-উপজেলার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য উপজাতীয় শরনার্থী ট্রাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাবেক সাংসদ ও শরনার্থী ট্রাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আলী আহমদ খাঁন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের এডিশনাল চীপ আফতাব হোসেন, খাগড়াছড়ির পৌর মেয়র রফিকুল আলম, রামগড় পৌর মেয়র শাহজাহান কাজী রিপন,খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম প্রমূখ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে মতে, নির্মাণাধীন প্রকল্পে ইতোমধ্যে ভারত সরকার তাদের অর্থায়নে ভারত অংশে এপ্রোচ রোড ও অবকাঠামো নির্মাণ করছে এবং ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মানে চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এখন বাকী শুধু ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতু ১ নির্মাণ ও বাংলাদেশ অংশে স্থলবন্দর অবকাঠামো নির্মান কাজ। ফেনী নদীর উপর বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতু ১ নির্মানে গত বছরের ১২ জানুয়ারী দেশটির ন্যাশনাল হাইওয়েস এন্ড ইনফ্রাষ্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) সংস্থাটি ৮৮ কোটি ৬৮ লাখ ভারতীয় রুপি ব্যয়ে ২ বছর ৫ মাসের মধ্যে ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪ দশমিক ৮ মিটার প্রস্তের সেতুটি নির্মাণের সময়সীমা নির্ধারণ করে।

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে দরপত্র আহ্বান করার পর আগারওয়াল কনস্ট্রাকশন নামে গুজরাটের একটি প্রতিষ্ঠানকে সেতুটি নির্মানের জন্য মনোনিত করে ভারত সরকার। আর্ন্তজাতিক মানের সেতুটি যুক্ত হবে রামগড় বারইয়ার হাট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে অপরদিকে ভারত অংশে নবীনপাড়া ঠাকুরপল্লি হয়ে সাব্রুম আগারতলা জাতীয় সড়কের যুক্ত হবে। ভারত অংশে সাব্রুম ছোটখীল রাস্তা হতে ফেনীনদী পর্যন্ত ১ একর ৫৭ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহণ চুড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ অংশে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এদিকে গত বছররের ২ জানুয়ারী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে স্থল বন্দর উন্নয়ন মূলক পরামর্শ সভায় সেতুটি দ্রুত ভারতের অর্থায়নে ও সেতু নির্মানের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে স্থলবন্দর অবকাঠামো নির্মাণের বিষয়ে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী। এর ধারাবাহিকতায় গত ১ আগষ্ট রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বৈঠকে রামগড় স্থলবন্দরসহ আটটি প্রকল্পের জন্য ৬৯৩ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে ভারত-বাংলাদেশের দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে ফেনী নদীর উপর রামগড়-সাবরুম মৈত্রী সেতু-১ এর ভিত্তি প্রস্তর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন করেন।

এ বিভাগের আরোও..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরোও..
error: Content is protected !!