নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির গুইমারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের অনিয়ম-দুর্নিতীর কারনে ৫জন শিক্ষার্থী মধ্যে মোঃ নুরুন্নবী ও মোঃ আব্দুল আজিজ। এখনও বাদবাকী ৩ জন শিক্ষার্থী (মোমেনা আক্তার, পিতা- নিজাম উদ্দীন, মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, পিতা- আহম্মদুল হক, মোঃ সাকিবুল ইসলাম, পিতা- আহম্মদুল হক) ফরম-পিলাপ করতে পারেনি।
অভিভাবকগণ স্বাক্ষাতকারে বলেন, আর্থিক অনটনের মধ্যেও আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করিয়ে আসছি। মাদ্রাসার শিক্ষকগণ নানা ধরনের ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। অন্যদিকে মোমেনার মা বলেন, আমার মেয়ে মেধাবী ছাত্রী। আমার মেয়েটি ছেলে নয়, এক বছর পিছিয়ে গেলে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ, আমাদের সন্তান যাতে ফরম ফিলাপের মাধ্যমে পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারে সেদিকে সুবিবেচনার অনুরোধ করেন।
গুইমারা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, বিষয়টি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-এর সম্মতির ব্যাপার। উভয়ের সম্মতি থাকলে এখনো ফরম ফিলাপের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনিছুল হক বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে, প্রশাসনের নির্দেশক্রমে দুই ছাত্র নুরনবী ও আব্দুল আজীজ বুধবার বিকাল ৩ টা’র সময় দালিখ পরিক্ষার ফরম ফিলাপ করতে পেরেছে। বাকী ৩ জন শিক্ষার্থী (মোমেনা আক্তার, পিতা- নিজাম উদ্দীন, মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, পিতা- আহম্মদুল হক, মোঃ সাকিবুল ইসলাম, পিতা- আহম্মদুল হক)ফরম ফিলাপের ব্যাপারে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এলকাবাসীর দাবী, ৩ শিক্ষার্থী যাতে পরিক্ষা দিতে পারে সেই বিষয়ে সকলে মিলে সুযোগ করে দেওয়ার জোর দাবী করেন। নচেত, এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে প্রতিষ্ঠানগুলী ক্ষতিগ্রস্থ হতে পরে।
Leave a Reply