নুরুল আলম:: তিন পার্বত্য জেলায় সকলের সম্মিলীত প্রচেষ্টায়ই শান্তি বিরাজমান থাকবে। এক্ষেত্রে পাহাড়ে বসবাসকারী সকল পাহাড়ি বাঙ্গালীকেই এগিয়ে আসার আহবান জানান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল ইসলাম এএফডব্লিউসি, পিএসসি,জি। সোমবার সন্ধ্যায় রিজিয়ন মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের উদ্যোগে “শান্তিচুক্তির ২১ তম বর্ষপূতি” উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা ব্যাক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অশেষ ভুমিকার জন্য আমাদের এই কষ্টার্জিত স্বাধীনতা পেয়েছি, তাই তাঁকে বিন¤্র শ্রদ্ধার সহিত স্মরন করছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে “৭১” না আসলে যেমন বাংলাদেশে স্বাধীনতা আসত না, তেমনি ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চুক্তি না করত তাহলে পাহাড়ে শান্তি আসত না। অনুষ্ঠানে ব্রিগেড কমান্ডার অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত করার জন্য মাটিরাংগা জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মো: নওরোজ নিকোশিয়ার, পিএসসি,জি এবং তার ইউনিটকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং আসনের সংসদ সদস্য এবং ভারত প্রত্যাগত শরনার্তী বিষয়ক টাক্সপোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপূর্ণ) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। আরও বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরি চৌধুরি, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, ১নং গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, ২নং হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরি, এবং গুইমারার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা শিল্পী নিশীতা বড়ুয়া, খাগড়াছড়ির শিল্পী আবুল কাশেম, খাগড়াছড়ির প্রত্যান্ত এলাকার উপজাতি শিল্পীরা, এবং কৌতুক পরিবেশন করেন মিরাক্কেলের পারপর্ম করা কায়কোবাদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বিজয়ের এই মাসে সবাইকে জানাচ্ছি বিজয়ের শুভেচ্ছা। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করা সকল শহিদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ না নিলে বর্তমানে পাহাড়ে এতো শান্ত বিরাজ করতো না বরং আরো হানাহানি এবং রক্তারক্তি লেগেই থাকত। তিনি পাহাড়ে চলমান শান্তি বিরাজমান থাকার জন্য পাহাড়ি বাংগালী সবাইকে এক থাকার আহবান জানান।
শান্তি চুক্তির সমাবেশের সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন- মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লে:কর্নেল মো: নওরোজ নিকোশিয়ার, পিএসসি,জি, লক্ষীছডি জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মো: মিজানুর রহমান মিজান, পিএসসি,জি, যামিনীপাড়া জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মাহমুদুল হক, পলাশপুর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: সাইফুল্লাহ মিরাজুল আলম, রামগড় জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: তারিকুল হাকিম, পিএসসি, বিএম ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেডের মেজর ফাহিম মোনায়েম হোসেন, পিএসসি, ও জিএসও-২ (শিক্ষা) ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড মেজর মোহাম্মদ পারভেজ।
Leave a Reply