আজ ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

খাগড়াছড়িবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা

নুরুল আলমঃ  ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগাম খাগড়াছড়িবাসীকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পাজেপ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সহ এম,এ জব্বার, মোঃ মাইন উদ্দিন, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, হিরন জয় ত্রিপুরা, আশুতোষ চাকমা, শুভ মঙ্গল চাকমা, নিলোৎপল খীসা, মংক্যাচিং চৌধুরী, রেম্রাচাই চৌধুরী, মেমং মারমা, মিজ শতরূপা চাকমা, ও শাহিনা আক্তার।

পাজেপ চেয়ারম্যান বলেন, ‘পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আমি খাগড়াছড়িবাসী সহ দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ‘ঈদ মোবারক’ ঈদ-উল-ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। দিনটি বড়ই আনন্দের, খুশির।

এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারাবাংলায়, সারাবিশ্বে। শহরবাসী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে আসে আপনজনের কাছে, মিলিত হয় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। এ দিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।’

‘ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ঈদ-উল-ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ খাগড়াছড়ি— এ প্রত্যাশা করি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে। এই সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোনও স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে।ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আঘাতে এবারে হয়তো পূর্বের ন্যায় সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করা সম্ভব হবে না। তবুও আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন, নিকটজনসহ সবাই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেব। কোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।

পাজেপ চেয়ারম্যান আরও বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারিতে এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে নিরানন্দ, ভয় ও আতঙ্ক। এ অদৃশ্য আততায়ী করোনার কবল থেকে মানুষকে রক্ষা করতে আমি কায়মনোবাক্যে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করি।

তিনি বলেন, পবিত্র এ দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা। পবিত্র ঈদুল ফিতরে আমি এই কামনা করি।

এ বিভাগের আরোও..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরোও..
error: Content is protected !!