নিজস্ব প্রতিবেদক:: পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিকদল গুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অস্ত্রসহ নানান রশদ ক্রয় করতে অর্থের যোগান দিচ্ছে পাহাড়ের অবৈধ কাঠ ব্যবসায়িরা। সন্ত্রাসীদের বিপুল অংকের চাঁদা দিয়ে তাদের প্রত্যক্ষ মদদে অত্রাঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কোটি কোটি টাকার কাঠ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবনের শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র।
স্থানীয় এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে উপরোক্ত তথ্যগুলো পায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই ধরনের অবৈধ ব্যবসায়িদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আদায় করে পাহাড়ের উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলেও জানতে পেরেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের অর্থের যোগানদাতা অবৈধ কাঠ ব্যবসায়িদের চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
যার ধারাবাহিকতা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বুধবার খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থেকে অভিনব কায়দায় পাচারের সময় এক ট্রাকভর্তি চিড়াই কাঠ আটক করেছে মাটিরাঙ্গা জোন। বুধবার (১৮ আগস্ট ২০২১) দুপুরে অবৈধ কাঠ পাচারের সময় গুইমারা রিজিয়নের অধিনস্থ মাটিরাঙ্গা জোন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অবৈধ কাঠভর্তি ট্রাকটি আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত কাঠগুলোর মধ্যে সেগুন, গোদা, গামারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ রয়েছে এবং বাজার মূল্য আনুমানিক ৩লাখ টাকা বলে জানাগেছে। পরবর্তীতে কাঠভর্তি ট্রাকটি জব্দ করে মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন মাটিরাঙ্গা জোন।
বর্তমান গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডারের নির্দেশে সেনা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অবৈধ কাঠ উদ্ধার, মাদক পাচার, সন্ত্রাসী আটক করায় এই রিজিয়নের অধিনস্থ জোন গুলোসহ সকলে সুনাম অর্র্জন করেছে।
একটি সূত্রে জানাগেছে, এই ধরনের ট্রাক গুলো শুধু অবৈধ কাঠ পাচারের কাজে নিয়োজিত থাকে। ইতিমধ্যেই আঞ্চলিকদলীয় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের মুঠোফোনালাপের তথ্যও জানতে পেরেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। পার্বত্য জেলার অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কোটি কোটি টাকা চাঁদা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরো জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন সচেতনমহল।
Leave a Reply