আজ ৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

এক নারির ফাঁদে সর্বশান্ত চার পুরুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রথমে প্রেমের ফাঁদ, এরপর বিয়ে। নতুন স্বামীর সম্পদ হাতিয়ে নেন নানা কৌশলে। ক্ষণিকের সংসার জীবনে নানা জুটঝামেলা সৃষ্টি করে হাতিয়ে নেন কাবিননামায় উল্লেখিত দেনমোহরও। ভয় দেখান নারি-শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার। তার নাম মিনু। মিনু আক্তার। তার খপ্পরে পরে অন্তত চার পুরুষ স্বর্বসান্ত হয়েছেন। এমন তথ্য উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। ভিন্ন ভিন্ন নামে এনআইডি কার্ড তৈরি করে একাধিক পুরুষকে বিয়ে করতেন তিনি। এই বহুরূপী নারি টার্গেট করতেন মূলত প্রবাসী এবং দেশের ধনাঢ্য ব্যীক্তদের।

এবার সেই প্রতারক নারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুঁকে দিলেন এক ভুক্তভোগী স্বামী। মামলায় আসামি করা হয়েছে মিনুসহ তিনজনকে।

কথিত মিনুর বাড়ি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি থানার দুর্গম মারিশ্যায়। সেখানকার ৩২ নম্বর বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ওগলছড়ি এলাকার আলী আহমদের মেয়ে তিনি। তবে মিনুর বর্তমান ঠিকানা বায়েজিদ থানার রুবি গেট হাসিনার মার কলোনি এলাকায়। যদিও তিনি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, কাতারপ্রবাসী জোরারগঞ্জ থানার ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর আলমের ছেলে ইমাম হোসেনের সঙ্গে ফেসুবকে পরিচয় হয় মিনু আক্তারের (৩৬)। পরে মেসেঞ্জারে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে সেই প্রেমের সমাপ্তি ঘটে পরিণয়ে।

মামলার নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইমাম হোসেন ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে মিনুকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ইমাম জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী মিনু বিভিন্ন নামে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থসম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব জেনেও ইমাম তাঁর স্ত্রীকে বারবার সংসারে ফেরানোর চেষ্টা করেন। তবে তার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি ইমাম কাতার চলে যাওয়ার পর মিনু বিভিন্ন সিম ব্যবহার করে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে প্রতারণা করতে থাকেন। অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন টাকা।

২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইমাম হোসেনকে না জানিয়ে ঢাকা গাজীপুর টঙ্গী আলম মার্কেটের দত্তপাড়া এলাকার এসএমএ আউয়ালের ছেলে মোস্তফা জামিলকে (৩৭) বিয়ে করেন মিনু। দেশের ফেরার পর ২০২১ সালে ২০ আগস্ট ইমাম হোসেন স্ত্রী মিনু আকতারকে বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে ইমাম হোসেন নিরুপায় হয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিনু আক্তার, মোস্তাফা জামিল, রাশেদসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানতে মিনু আক্তারের মোবাইলে একাধিক ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরোও..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরোও..
error: Content is protected !!