আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গুইমারা বাজারে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতি


নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিচারের বানী নিরবে কাঁদে, বিচার প্রার্থীরা পাচ্ছে না বিচার, হচ্ছে শুধু হয়রানীর স্বীকার। গুইমারা বাজারে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক ক্ষমতা দেখিয়ে জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে পড়েছে একটি মহল। গুইমারা বাজার চৌধুরীর যোগসাজসে বাজারের টয়লেটের জায়গায় প্লট বরাদ্ধ দিয়ে মোট অংকের টাকা নেওয়ার পায়তারা চলছে।

গুইমারা বাজারের পশ্চিম পাশের এবং বর্তমান টয়লেটের পূর্বপাশে যে জায়গাটি টীনসেট দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে, পূর্বে সেই জায়গাতেও টয়লেট ছিল। উক্ত টয়লেটটি ব্যবহারে অনুপযোগি হওয়ার ফলে সেই টয়লেটটি ভেঙ্গে অন্যের কাছে প্লট হিসাবে বাজার ফান্ডে বাজার চৌধুরীর সহযোগিতায় বন্দোবস্তি দিয়েছে বলে দখলকারীরা জানিয়েছে। তা তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

জানাযায়, বর্তমান টয়লেটটি কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে নির্মান করলেও সুষ্ঠ পরিচর্যা না করায় সেই টয়লেটটিও অকেজো হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেখানে রেখেছে ফার্নিচার মিস্ত্রিদের কাঠ ও আসবাসপত্র তৈরির মালামাল।

গুইমারা বাজারের অলি-গলি, ডাস্টবিন সহ একের পর এক বাজারের জায়গায় প্লট বরাদ্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় জায়গা দখল করে নেয় প্রভাবশালী মহল। গুইমারা বাজার এলাকার আশেপাশের সরকারী খাস জায়গা অবৈধ দখল হলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। ফলে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দোকানপাট নির্মাণ করছে দখলদাররা। এছাড়াও ফুটপাত দখল করে দোকান বা ব্যবসা কার্য চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। আশু মাহাজন টাওয়ারে করা বিল্ডিংটিতেও রাস্তার ও ড্রেনের জায়গা দখল এবং পার্শ¦বর্তী জায়গার মালিক হাজী ইসমাইলের বাব দাদার আমলের ও অন্য এক পরিবারের দখলীয় জায়গাটি অনুপ নামক এক ব্যক্তির নিকট প্লট হিসাবে বন্দোবস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে জায়গা দখল করেছে বলে জানাগেছে। এছাড়াও গুইমারা আবাসিক এর পাশে পানি সংস্কারের জায়গা দখল করে বিল্ডিং নির্মান করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর দাবি।

বির্তকিত টয়লেটের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণকারীরা বলেন, বাজার প্লট হিসাবে জায়গাটি বাজার চৌধূরীর মাধ্যমে নিয়েছি। যা বাজার ফান্ড প্রশাসনের নিয়ম মেনে করছি। জোর করে বা অন্যায় ভাবে কোনো কাজ করছি না।
বাজার চৌধুরীর সাথে টেলিফোনো যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলে ফোনে রিং পরার সত্ত্বেও ফোন রিসিভ করেনা। তাই বাজার চৌধুরীর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বাজার ফান্ডের অধীনস্থ বাজার গুলো দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বাজারের পূর্বের টয়লেটের পরিত্যাক্ত জায়গাটিতে দোকান নির্মাণের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এই মাত্র বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভোক্তভোগিদের দাবি, গুইমারা বাজারে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির বিয়ষগুলো সুষ্ঠ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

অন্যদিকে, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ সদস্য মেমং মারমার নিকট থেকে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরোও..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরোও..
error: Content is protected !!