আল আমিন রনি, খাগড়াছড়ি:: বেসরকারি সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আশা ঋণ প্রদানের পাশাপাশি গ্রামীণ নারী/ পুরুষদের জীবনযাএার মান উন্নয়নে দেশব্যাপী আশার নিজস্ব অর্থায়নে কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার মধ্যে উল্লখযোগ্য আশার ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচোসার প্রকল্প।
ভার্মিকম্পোস্টঃ মাটির প্রাণ কেঁচোসার বা ভার্মিকম্পোস্ট। দিনে দিনে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার বাসিন্দা পুণ্য চাকমা (৩৬) পারিবারিক কৃষিজ উৎপাদনের সাথে জড়িত। পরিবারের নিরাপদ খাদ্যের কথা চিন্তা করে কৃষিজ উৎপাদনে রাসায়নিক সার ব্যবহার কমিয়ে কেঁচোসার ব্যবহার করছেন বিগত দুই বছর যাবৎ। আশা সংস্থার সহযোগিতায় প্রথমে নিজের চাহিদা পূরণের জন্য দুইটি স্যানিটারী রিং এ উৎপাদন শুরু করলেও বর্তমানে ছয়টি রিং এ উৎপাদন করছেন। নিজের চাহিদার উদ্ভৃত্ত কেঁচোসার বাজারে বিক্রির মাধ্যমে আয়ের উৎস হয়েছে।
মহালছড়ি উপজেলার বদানাল গ্রামের বাসিন্দা রিপণ তালুকদার (৪৫) আশা সংস্থার পরামর্শ ও সহযোগিতায় প্রথমে উনার মিশ্রফল বাগানের জন্য দুইটি হাউজে কেঁচোসার উৎপাদন শুরু করলেও বর্তমানে আটটি হাউজে কেঁচোসার উৎপাদন করছেন। তিনি বলেন, নিজে ব্যবহারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেন যা প্রতিকেজি ২০-২২ টাকা তবে বর্তমানে বাজারে কেঁচোসারের যে চাহিদা তিনি তা মেটাতে পারছেন না। বাজারের চাহিদার কথা চিন্তা করে সামনে উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন।
এ যাবৎ তিন পার্বত্য জেলায় ১২ জন উদ্যোক্তাকে ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচোসার উৎপাদনে আশার কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।
আশা খাগড়াছড়ি জেলার কৃষি কর্মকর্তা, খায়রুল বাসার টিপু বলেন, নিরাপদ খাদ্যের কথা চিন্তা করলে কেঁচোসার ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই। স্বল্প জায়গায় অল্প খরচে কেঁচোসার উৎপাদন করে নিজের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের মাধ্যমে আয়ের ভালো সুযোগ রয়েছে।
আশা-মহালছড়ি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বিমল বিকাশ চাকমা বলেন, আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কেঁচোসার উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত আশার পক্ষ থেকে কারিগরি ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
Leave a Reply