আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গুইমারার হাতীমুড়ায় বিএনপির অফিস সংলগ্ন গাছ কাটার চেষ্টা অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারার হাতীমুড়া বাজার সংলগ্ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৩নং ওয়ার্ড শাখার অফিস অবস্থিত। উক্ত অফিসের জায়গার মধ্যে হাতীমুড়া স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ২০-২১ বছর পূর্বে রোপনকৃত গাছ গুলোর মধ্যে ২টি সেগুন গাছ বিদ্যমান আছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি গাছগুলো কেটে আত্মসাতের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

হাতীমুড়া এলাকাবাসী পক্ষে স্থানীয় বিএনপির সভাপতি মো: জাকির আকন অভিযোগ করেন বলেন, বিএনপির অফিস সংলগ্ন সেগুন গাছ দুটি মাতৃ গাছ নামে পরিচিত এবং এলাকার লোকজন এই গাছ গুলো থেকে প্রতি বছর বীজ সংগ্রহ করে চারা গাছ উৎপাদন করে থাকে। গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ আনুমানিক সকাল ৮টায় অন্যায়ভাবে অফিস সংলগ্ন মাতৃ সেগুন গাছ ২টি জাহিদুল ইসলাম, রুস্তম আলী তালুকদার, ইব্রাহিম মীর, রফিক, কামরুল শিকদার ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন মিলে কেটে আত্মসাত করার উদ্যোগ নেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

তিনি আরো বলেন, তাৎক্ষণিক স্থানীয় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ খবর পেয়ে বাঁধা দেয়, কিন্তু বাঁধা না মেনে গাছ গুলো কাটতে থাকে। পরক্ষণেই স্থানীয় প্রশাসন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তারা গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।

এলাকাবাসী আরো জানান, সম্প্রতী তারা পূণঃরায় গাছ কাটার উদ্যোগ নিচ্ছে। তাই এই বিষয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি ও সর্বসাধারণের সামনে সত্য প্রকাশের লক্ষ্যে সংবাদ পত্রে প্রকাশ করার দাবী জানান এলাকাবাসী।

এই বিষয়ে রোস্তম তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এই বিষয়ে হাতিমুড়া বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

গাছ কাটার বিষয়ে হাতিমুড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম মীর এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জায়গাটি বাজার ফান্ডের আওতাধীন। অনেকেই এই জায়গার দাবি করছে। তবে উক্ত জায়গার মুল মালিক কে সেই বিষয়ে তদন্তের জন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি পেলে গাছ কাটা হবে।

হাতিমুড়া বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, বাজার কমিটির পক্ষ থেকে গাছ গুলো কাটার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাছাড়া গাছ গুলো অনেক পুরনো। যদি কেউ জোরপূর্বক গাছ কাটার উদ্যোগ নেয় তাহলে আমি ন্যায় সংঙ্গত ও যুক্তিক কথা বলব।

জালিয়াপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা অনুকর চাকমার বলেন, মাতৃ গাছ কাটার নিয়ম নেই। এসব গাছ থেকে সাধারণত এলাকার লোকজন বীজ নিয়ে নতুন গাছ তৈরি করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত করেছি।

এ বিভাগের আরোও..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরোও..
error: Content is protected !!