আজ ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

খাগড়াছড়িতে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন


নিজস্ব প্রতিবেদক:: “গাছ লাগিয়ে যত্ন করি,সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি””এই প্রতিপাদ্যে খাগড়াছড়িতে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই ২০২৩) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে পৌর টাউন হলে এসে শেষ হয়।

পরে সেখানে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার শুভ উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি।

জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজিত মেলায় ২৬ টি প্রদর্শনী স্টলে শতাধিক প্রজাতির বনজ ও ফলজ ভেষজ চারা নিয়ে প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে। মেলায় সব বয়সী মানুষের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভীড় করেছে। আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ মেলা ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম,জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শানে আলম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা বাবুরাম চাকমাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আগে বহু প্রজাতির গাছ ছিল। কিন্তু ইদানিং অপরিকল্পিত বৃক্ষ কর্তন ও অসচেতনতার কারণে নির্মূল হয়ে গেছে। পাহাড়ের অনেক মূল্যবান গাছকে আমরা হারিয়েছি। কিন্তু তা পরিবর্তে কিছু নতুন প্রজাতির গাছও দেখতে পেয়েছি।

যা কৃষক ও বাগানিরা ইতিমধ্যে লাগিয়ে সুফলও পেয়েছে। খাগড়াছড়িতে যে পরিমাণ ফলের বাগান রয়েছে তা কিন্তু আগে ছিল না। পাহাড়ের আম্রপলি আম এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গেছে। যারফলে কিছুটা দরিদ্র নিরসন ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। আমাদের সকলকে গাছ লাগাতে হবে, নিজের মত করে ভালোবাসতে হবে।

এ বিভাগের আরোও..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ বিভাগের আরোও..
error: Content is protected !!