[highlight]মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের নাম ব্যবহারে অসহায় আইন[/highlight]
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলাধীন তিনট্যহরীতে আজ আবারও ঘর নিমার্ণে মাঠে নেমেছে ভূমি দস্যুরা। বন্ধ হয়নি অবৈধ জায়গা দখল। অন্যের জায়গায় মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে সাইন বোর্ড লাগিয়ে জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করলেও বার বার প্রতিকার চেয়ে কোন ধরনের ফল পায়নি অসহায় স্থানীয় রাঙ্গামাটি কাপ্তাই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত ডিপির প্রজা মৃত্যু ছিদ্দিক আহম্মদের পরিববার।
মুুক্তিযোদ্ধার সন্তানের নাম ব্যবহার করায় এখন যেন অসহায় স্থানীয় পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও ভূমি দস্যুদের ইন্ধনে হয়রানীর শিকার হচ্ছে এ পরিবারটি। এ ভূমি নিয়ে হাই কোর্টের আদেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করছে ভূমি দস্যুরা। তার পরও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কোন ধরনের আইনি সহায়তার স্থলে এ বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই বলে জানান।
এদিকে এ জায়গা দখলের চেষ্টায় আবুল নামের এক যুবকে জায়গা দখলে সহায়তা করছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দানকারী মো: আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। সে ঘটনাস্থলে আজ মঙ্গলবার ছবি তুলতে গেলে মৃত্যু ছিদ্দিক আহম্মদ এর ছেলে সাংবাদিক নুরুল আলমকে চোখ রাঙ্গিয়ে হুমকি দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান নেয় তাদের ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী।
পূর্বে মৃত্য ছিদ্দিক আহম্মদের ৩ ভাইয়ের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জায়গার নিচে জমির অংশে মুক্তিযোদ্ধার সাইন বোর্ড লাগিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হস্থক্ষেপে অবৈধ দখল রোধ হলেও বর্তমানে টিলা ভূমি দখল করে বসত ঘর নির্মানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
জায়গার মালিক মৃত্য ছিদ্দিক আহম্মদের পুত্রদের প্রশাসনিক সহায়তা চাইলে জমির অংশে অবৈধ ভাবে ঘর নির্মানের চেষ্টা সেনা বাহিনীর হস্থক্ষেপে বন্ধ হলেও এবার ভূমি দস্যুরা টিলায় “মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের নাম ব্যবহার করে” একটি চক্রকে কাজে লাগিয়ে ঘর তৈরীর করে চলেছে। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ভূমি দস্যুরা একে একে জড় হতে থাকে। পরে তারা বিভিন্ন ভাবে বাক-বিতন্ডার চেষ্টা করলেও প্রশাসনের লোক থাকায় বড় ধরনের কোন সমস্যার দৃষ্টি করতে না পারলেও তারা চলে আসার পর তাদের দেখে নেওয়া হুমকি দেয় বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়।
ভূমি দস্যুদের কোন ঘর বাড়ি না থাকায় তাদের এ জায়গা দখল করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল, ওসি ও ইউএনও নির্দেশ দেয় বলে দখলের চেষ্টাকারী মৃত-রুহুল আমিন ছেলে আবুল দম্ভ করে বলেন। এ সময় সে মামলার রায়ে পেলে জায়গা ছেড়ে দেবে বলেও জানান।
এ বিষয়ে তিনট্যহরী ৪নং তিনট্যহরী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল এ ধরনের কোন কিছু তিনি বলেননি বলে তার বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্য অস্বীকার করেন। মানিকছড়ি থানার ওসি আব্দুর রকিব বলেন, এ ধরনের কোন কথা আমি বলিনী। বিষয়টি সম্পুন্ন ভিত্তিহীন ও মিথ্যা,বানোয়াট। এদিকে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিনিতা রাণী বলেন, এ ধরনের কোন কথা বলেন’নী বলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত: গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় পরিকল্পিত ভাবে মৃত ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলেদের পৈত্তিক সম্পক্তি সাইন বোর্ড লাগিয়ে ৪০/৫০ জন লোক নিয়ে ঐ জায়গা দখলের চেষ্টা করে। জায়গার মালিক হাই কোর্টের রিটকারী আবু তালেবসহ তার ভাইদের মারধরের জন্য দখলের চেষ্টাকারীরা খোজাখুজি করে। বিষয়টি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়।
গত ৩০ অক্টোবর ২০১৬ হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে বিরোধীয় সম্পত্তির স্থিতি বজায় রাখতে লিখিত আদেশ জারী করে।