[highlight]সংঘাত,হানাহানি, দ্বন্ধ শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করে – মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান[/highlight]
আল-মামুন: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন, স্ব-উদ্যোগেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন ভাল মানসিতা আর
নিজেদের সচেতনতা। সংঘাত, হানাহানি, দ্বন্ধ ও রাজনৈতিক মত বিরোধ শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে। তাই শান্তি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে উন্নয়ন ও অগ্রযাতায় সকলকে শান্তির পথে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার রাতে খাগড়াছড়ির শালবনসহ পৌর এলাকায় বিরাজমান সহিংসতা,নাশকতা নিরোধ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মত বিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, সংঘাত নয় শান্তিই হোক সকলের অঙ্গিকার এ ধারায় চললেই শান্তি বজায় রাখা সম্ভব।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসকের সহযোগিতায় পৌরসভার আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি মো: ওয়াহিদুজ্জামান। এতে সভাপতিত্ব করেন ৬নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন।
ফরিদ-উজ-জামান স্বাধীনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী (বিপিএম সেবা), খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল আমিন, আনসার-ব্যাটালিয়নের জেলা এ্যাডজুডেন্ট অম্লান নাথ, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও টাক্সফোর্স সদস্য এসএম সফি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এতে অংশ নেয়। এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, এ্যাড. নুরুল্লাহ হিরো,মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান,আকবর হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তরা বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরবাসী স্বার্থে হানাহানি ভূলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলকে মিলেমিশে কাজ করার আহবান জানান। এ সময় নেতৃবৃন্দরা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকাবাসীকে সচেতন হতে হবে জানিয়ে সকলকে তাদের ছেলে-মেয়ের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে আলোকিত মানুষ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসতে আহবান জানান।
মেয়র রফিকুল আলম তার বক্তব্যে, এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সহায়তা কামনা করে শান্তির পথে হাতে হাত রাখতে আহবান জানান এবং এক হয়ে মিলেমিশে কাজ করার অনুরোধ করেন। সে সাথে কোন বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। স্থানীয় এলাকাবাসী- শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, শান্তি নষ্টকারীদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকে পৌর এলাকার শালবনে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও নাশকতার রোধে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।