[highlight]গুইমারা উপজেলা নির্বাচন: প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা[/highlight]
আল-মামুন,খাগড়াছড়ি: নবসৃষ্ট গুইমারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলী-বিএনপির জয়ে ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা। নৌকা প্রতিকে আওয়ামীলীগের মেমং মারমা আর ধানের শীষ প্রতিকে বিএনপির মনোনিত মো: ইউসুফের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা থাকলেও উপজাতীয় ভোটারদের বড় একটি অংশ সাবেক হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা পক্ষে রয়েছে বলে একাদিক সূত্রে জানা গেছে। ফলে বড় দু’ জাতীয় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে তা দেখা এখন সময়ের দাবী।
আগামী ৬ মার্চ প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিতব্য নবসৃষ্ট গুইমারা উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ আর নানা জল্পনা-কল্পনার জাল ভেদ করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। অলিতে গলিতে ছেয়ে গেছে পোষ্টারে পোষ্টারে। বিকল্প প্রচার প্রচারণা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক গণমাধ্যম ফেইজবুকেও। নিজ নিজ প্রার্থীদের জয়ের লক্ষে প্রাঁণপনে কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছে স্ব-স্ব দলের নেতাকর্মী।
দোকানে দোকানে চলছে জয় নিয়ে নানা কল্প কথা। ভোটারদের মুখে মূখে শোভা পাচ্ছে
উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা আর নতুন উপজেলা নিয়ে নাগরিক সুবিধার কথা। রয়েছে নানা সমস্যা,সম্ভবনার ভাবনাও। ফলে যোগ্য নেতৃত্ব খুজে নিতে ভোটাররা এবার ভুল আর প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দেবেন না বলে জানালেন একাদিক সচেতন ভোটাররা। বিগত দিনে প্রত্যেক নির্বাচনে গুইমারাবাসীর প্রত্যাশা পুরণের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও কোন জনপ্রতিনিধি তাদের কথা রাখেনি বলে অভিযোগ রয়েছে ভোটারদের। গুইমারা সদর ইউনিয়নের অনেক রাস্তা ঘাটের চিত্রই বলে দেয়।
তবে রয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও। এ নতুন উপজেলায় ৩
লড়াকু চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিদ্ধন্ধীতার মাঠে জয়ের লক্ষেকে টার্গেট নিয়ে মাঠে পিছিয়ে নেই (নৌকা)প্রতিকে আওয়ামীলীগের মনোনিত মেমং মারমা, (ধানের শীষ) প্রতিক নিয়ে বিএনপির মনোনিত মো: ইউসুফ ও (আনারস) প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা।
বিএনপির ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে মাঠে থাকা মো: ইউসুফের রাজনৈতিক ভাবে যেমনি দূরদর্শী তেমনি ভদ্র,শিক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে রয়েছে সুখ্যাতি। জাতীয় প্রতিকে নির্বাচন হওয়ায় নতুন করে যোগ হয়েছে প্লাস পয়েন্ট। সব মিলিয়ে ৩ প্রার্থীর মধ্যে দু’জন উপজাতী হওয়ায় ভোটের হিসাব-নিকাশে জয় এখন ভাগ্যের খেলায় পরিণত হয়েছে। তবে অবাধ, সুষ্ঠ,নিরপেক্ষ ও প্রভাবহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগণের ভোটে জয় নিশ্চতা নিয়ে মো: ইউসুফ অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্খা আর কারসাজির আশঙ্কা করছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর জয়ের লক্ষে ভোট হতে যাচ্ছে তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ নিয়ে কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট নিয়েও শঙ্খিত জাতীয় বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি। তবে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বিএনপির প্রার্থী মো: ইউসুফ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফছড়ির ইউপির চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমাও আনারস প্রতিক নিয়ে ভেতরে ভেতরে পিছিয়ে নেই। উপজাতীয় ভোটারদের বড় একটি অংশ তার উশ্যেপ্রুর ভক্ত বলে জানা যায়।
তরুণ
স্বতন্ত্র প্রার্থী উলাপ্রু মারমাকে আওয়ামীলীগ-বিএনপির জয়ের পথে বড় বাঁধা হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা। অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরও রয়েছে অভিযোগ আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে,
জোর করে দলীয় নেতাকর্মী দিয়ে ভোট জালিয়াতির চেষ্টার। তবে কোন ধরনের অনিয়ম হলে ছাড় দেওয়া হবে না জাানিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে জবাব দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী জানান উশ্যেপ্রু মারমা। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে সাধারণ ভোটারদের ভোটে তিনি এ উপজেলাবাসীর অভিভাবক নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী।
এদিকে-জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদের কথা জানিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মেমং মারমা বলেন, সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পুরনেই তার মুল লক্ষ। তিনি নিজেকে উপজেলা বাস্তবায়নের অগ্রদুতের ভুমিকা পালন করেছে দাবী করে জানান আমি শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষে কাজ করি। তাই ভোটাররা সঠিক সিধান্ত নিতে ভুল করবে না বলে মনে করেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী মেমং মারমা।
নতুন নির্বাচন কমিশনের অধিনে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনের পর খাগড়াছড়ি জেলার নবসৃষ্ট গুইমারা উপজেলায় পাহাড়ের দ্বিতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের ২জুন সরকারের প্রশাসনিক পূনবির্নাস সম্পর্কিত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে হাফছড়ি,সিন্ধুকছড়ি ও গুইমারা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবসৃষ্ট এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৭হাজার ৭শ ৮৫ জন।