আল-মামুন,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে দীর্ঘ দিনের বিরোধ নিস্পত্তি মিটিয়ে আওয়ামীলীগের ঐক্যের আহবান প্রত্যাক্ষণ করলেন এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। আজ শুক্রবার সকালে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ি টাউন হলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে গেলে বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: জাহেদুল আলম দলের পক্ষ থেকে এক সঙ্গে ফুল দিতে হাত বাড়ালে তা প্রত্যাক্ষাণ করেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সড়ে দাঁড়ান।
এক পর্যায়ে জাহেদুল আলমের বাড়ানোর হাত ঝাড়া দিয়ে দুরে সড়ে যান তিনি। এ নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যম ফেইজ বুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেখা দিয়েছে মিশ্র পতিক্রিয়া। এ ঘটনার পর পর টাউন হলে জেলা প্রশাসক আয়োজিত র্যালী শেষে আলোচনা সভায় এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা রাখা হলেও তাতে অংশ না নিয়ে তিনি এলাকা ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিয়ে ফেইজ বুক স্ট্যাটার্সে নানা মন্তব্য আর নানা জল্পনা-কল্পনা নিয়ে মন্তব্য উঠে আসতে শুরু করেছে। এদিকে একাদিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘ দিনের বিরোধ মিটিয়ে নিজেদের ঘরকে শক্তিশালী করাটাই উচিত ছিল এমপির কিন্তু তা না করে দুরে সড়ে যাওয়াটা দলের প্রতি আন্তরিকতার অভাব আছে বলে প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে দলের হাই লেভেল থেকে সম্প্রতি বহিস্কার বহিস্কার খেলার অবসানসহ ঘটানোর লক্ষে নানা নির্দেশনা দিলেও তা মানছেনা এমপির অনুসারী গ্রুপ অভিযোগ খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলমের। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিন্ডিকেট চক্র সৃষ্টি করে লুটপাটের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে এমপির অনুসারীরা।
এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে ঐক্যের আহবান করলেও তা প্রত্যাক্ষাণের বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাজেপ সদস্য জাহেদুল আলম বলেন, আমার পক্ষ থেকে দলের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করার আহবান নতুন কিছু নয়। তবে এ আহবান বার বার প্রত্যাক্ষাণ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। দলের স্বার্থের প্রশ্নে এমপির আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে তিনি নিজেও অভিযোগ করেন।
এদিকে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সাথে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তার (পিএস) পার্সনাল সেক্রেটারী খগে¦ন ত্রিপুরা বলেন, এ বিষয় নিয়ে কি কথা বলবেন। ঐক্যের আহবান তা তো প্রত্যাক্ষাণ করবেই তারা তো বহিস্কৃত নেতা ! তাদের সাথে কিসের কথা। এ সময় কথা বলে তিনি অপর প্রান্ত থেকে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।