নিজেস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন নির্মাণধীন ব্রীজ এর ঠিকাদারের কাজ থেকে মে দিবস উপলক্ষে দাবীকৃত ৫০হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ব্রীজের এক নির্মাণ শ্রমিককে মারধরের সংবাদ প্রকাশ করায় এবার প্রতিবেদককে হুমকি দিচ্ছে গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা।
বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার থেকে তারা গোপনে বৈঠক করে বিষয়টি, যে সকল সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের সরকার দলীয় অফিসে ধরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে দলীয় কিছু উশৃঙ্খল নেতাকর্মীদের দিয়ে সাংবাদিকদের মারধরেরও জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয় বলে জানা যায়। সেই সাথে দেওয়া হয় হুমকিও। ঘটনাটি বিশ্বস্থ সূত্রে খবর পাওয়ার পর এ ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানায় পেশাজীবি সাংবাদিকরা।
সেই সাথে এ ধরনের ষড়যন্ত্র রাজনীতির অপব্যবহার চেষ্টা উল্লেখ করে বলেন, কেউ ক্ষমতার বলে সাংবাদিকদের নিয়ে ষড়যন্ত্র ও হুমকি ও মারধরের ভয়-ভীতি প্রদর্শন কোন দিন শুভকর হবে না। বরং স্থানীয় ভাবে দলের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করাসহ রাজনীতির আড়ালে অপকর্মের প্রকাশ করার মতই হবে বলে মন্তব্য করে কোন ধরণের আঘাত এলে সংবাদকর্মীরা আন্দোলনের পথ বেঁচে নেবে বলে হুশিয়ারী জানান।
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বক্তব্য নিয়ে উক্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা সংবাদ প্রকাশে সংবাদকর্মীদের নিয়মের মধ্যে অন্তভুক্ত। সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্তর কোন ধরনের মন্তব্য থাকলে পাল্টা অভিযোগ বা বিবৃতির মাধ্যমে তার বক্তব্য স্পষ্ট করাতে পারেন। পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করেও অভিযোগ তুলে ধরতে পারেন। তা না করে ঘটে যাওয়া ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় সংবাদিকদের উপর ক্ষীপ্ত হওয়াটা ক্ষমতার অপব্যবহারের চেষ্টা বলে মনে করেন পেশাজীবি সংবাদকর্মীরা।
উল্লেখ যে, গত ১লা মে উপলক্ষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের গুইমারা উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এর নাম ভাঙ্গিয়ে কর্মসূচী বাস্তবায়নে জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। পরে দাবীকৃত টাকা না পেয়ে তারা কাজের স্থলে এসে নির্মাণ শ্রমিককে বেধড়ক ভাবে মারধর করে। গত বুধবার (৩ মে ২০১৭) সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিকের নাম শামীম। এক পর্যায়ে আহত শ্রমিক শামীমকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর আগেও ব্রিজের কাজের সুবাদে ঠিকাদারের কাজ থেকে একাদিক বার চাঁদাদাবীর অভিযোগ করেন ঠিকাদার জাকির হোসেন।
তবে চাঁদা দাবীকারীরা আওয়ামীলীগের কর্মী এবং সভাপতির লোক বলে দাবী করেন ঠিকাদার জাকির হোসেন। এ ঘটনায় ঠিকাদার কাজ বন্ধ ঘোষনা ঘোষনা করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে গুইমারা রিজিয়নের সেনা প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঠিকাদার জাকির বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কেউ আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজী করলে তার দায়িত্ব আমি নেব না। যারাই চাঁদা চেয়ে থাকনা কেন চিহিৃত করে দিলে অবশ্যই দলের কেউ জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রমিক মারধর ও চাঁদাদাবীর বিষয়ে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জোবাইরুল হক বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনী। লিখিল অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।