নিজেস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে সংবাদ প্রকাশের পর অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ও সর্বরাহকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রশাসন। জালিয়াপাড়া-মহালছড়ি সড়কে উন্নয়ন কাজে মাটিযুক্ত বালিসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদে বালু সর্বরাহ হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় স্থানীদের অভিযোগ তুলে ধরার এক দিন পর বুধবার সকালে অবৈধ বালু সর্বরাহকালে ২টি বালু বোঝাই ট্টাক আটক করে পুলিশ। পরে ইজারার কাগজপত্র আছে কি না, বালু কিভাবে আনা হচ্ছে তা যানতে চাইলে কোন কাগজ দেখাতে পারিনী মানিকছড়ি থেকে বালু সর্বরাহকারীরা। ফলে উপরস্থ কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে না থাকায় স্থানীয়দের অনুরোধে ট্টাক ২টি পুলিশ ছেড়ে দেয়। জালিয়াপাড়ায় চৌমহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও রামগড়ের থলবিাড়ী এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু সর্বরাহকরার বিষয় খবর পেয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মামুন মিয়া অভিযান চালায়। এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে কাউকে না পেলেও বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম জব্দ করে বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি স্বস্তি প্রকাশ করে এলাকাবাসী বলেন, প্রশাসন সক্রিয় থাকলে অনিয়ম রোধ করা সম্ভব। এছাড়াও ইজারাহীন বালু ব্যবসায়ীদের দৌরত্ব রোধ করা গেলে সরকার পাবে রাজস্ব।
অন্যদিকে সব ধরনের অনিয়মে সাধারণ মানুষ সচেতন থাকলে অনিয়ম রোধসহ দেশের অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন সমাজ। অন্যদিকে জালিয়াপাড়া-মহালছড়ি সড়কে অনিয়মের বিষয়ে সচেতন হলে এলাকাবাসী মানসম্মত সড়ক পাবে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।