রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়িদের গ্রামে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।গত ২ জুন ওই হামলার সময় সেখানে ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি’ এবং দুদিন পর পাহাড়িদের প্রতিবাদ মিছিলে সেনাবাহিনীর ‘বলপ্রয়োগের’ খবরেও উদ্বেগ জানিয়েছেন সংগঠনটি।
ওই ঘটনায় পাহাড়িদের অন্তত ৩০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সে সময় একটি ঘরে আটকা পড়ে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয় দাবি করে সোমবার এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, যারা এ ঘটনায় দায়ী, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।
লংগদু সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন খুন হওয়ার পর গত ২ জুন সকালে তার লাশ নিয়ে মিছিল থেকে উপজেলা সদরে পাহাড়িদের কয়েকটি গ্রামে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।স্থানীয় বাংলাভাষীদের অনেকে নয়ন হত্যার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে এলেও সেই অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে। অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, পাহাড়িদের গ্রামে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের হাতে ছিল ছুরি আর লাঠি। কেউ কেউ পেট্রোল নিয়েও এসেছিল। এ থেকে বোঝা যায় হামলা ছিল পরিকল্পিত।
নয়নের মৃত্যর প্রেক্ষাপটে উত্তেজনার মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলেও তার মধ্যেই কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই তাণ্ডব চলে বলে উল্লেখ করা হয় অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে।
সেখানে বলা হয়, ৪ জুন পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা দীঘিনালায় প্রতিবাদ মিছিল বের করলে ‘পুলিশ ও সেনা সদস্যরা’ তাদের পিটিয়ে সরিয়ে দেয়। সে সময় অন্তত সাত শিক্ষার্থী আহত হন এবং দুজনকে আটকও করা হয়।অ্যামনেস্টি দাবি করেছে, সরকারকে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্ত করে সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।ওই ঘটনার জন্য দায়ীদের স্বচ্ছ বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
(সুত্র: বিডি নিউজ)