নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়নের বান্দরছড়া এলাকায় হুদা মিয়ার বড় ছেলে মো: আবু তাহের রাজু কর্তৃক প্রথম স্ত্রী রেখে ১৩ বছরের এক মেয়েকে বিবাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার যখন বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গ্রাম পর্যায়ে কাজ করছে তখনেই এ ধরনের কর্মকান্ডে বিপদগামী হয়ে উঠছে সমাজ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গোমতি ইউনিয়নের বান্দরছড়া এলাকার মফিজ মিয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তার (১৩) ২ লক্ষ টাকার কাবিন,১ কানি জায়গা ও ২ ভরি স্বর্ণ দেওয়ার প্রলবণ দিয়ে বিবাহ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ করে আবু তাহের রাজু। এ ঘটনার জন্য বাল্য বিবাহে সহযোগিতা করে স্থানীয় বান্দরছড়ার জামাল মিয়ার ছেলে আমির হোসেন,মুক্তা আক্তার পিতা মফিজ মিয়া ও তার পিতা মোখলেছ মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১০ জুন ২০১৭ তারিখ মুক্তা আক্তার তার বাবা মফিজ মিয়া,হুদা মিয়া তার ছেলে আবু তাহের রাজু মেয়েকে চট্টগ্রাম নিয়ে গিয়ে গোপনে বিবাহ করে। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্তে¡ও তার কোন অনুমতি না নিয়ে ১৩ বছরের এক মেয়ে বিয়ে করে।
অভিযোগ আছে, এর আগেও সে একাদিক মেয়েকে বিয়ের প্রলবণ দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ডে সর্ম্পক গড়ে তোলাসহ থ্রী পিস,মোবাইল ও নানা গিফ্ট দিয়ে সহজ সরল মেয়েদের সর্বনাশ করা ও নেশা করে মাতলামি করে এই নারী লোভী আবু তাহের রাজু। সে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের মিসিনঞ্জার পদে কর্মরত আছে বলে জানা যায়। সে কেরানীহাট অফিসের অধিনে কর্মরত থেকে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রথম স্ত্রী এ ঘটনার জন্য স্বামী আবু তাহের রাজু ও তার শ্বাশুড় হুদা মিয়াকে দায়ী করে বলেন, এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত। তার তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাল্য বিবাহের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান।