নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি:: খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বিকাশ মেসার্স এয়ারটেল অফিসে একাউন্সে (হিসাব রক্ষক) কর্মরত রাশেদ খন্দকার নামের এক যুবক ও তার দুই বন্ধুর কাজ থেকে ব্যবসা ও পারিবারিক সমস্যার অজুহাতে টাকা ধার নিয়ে না দিতে প্রতারণার আশ্রয়ের অভিযোগ উঠেছে খাগড়াছড়ি কলাবাগানের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল করিম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তবে সে এলাকায় থেকে টাকা না দিতেই লোক চক্ষু থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টাকা পাওনাদার। এ নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি পৌর ৪নং ওয়ার্ড কলাবাগানের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল করিম রবি ডিলার (ইয়েস এন্টারপ্রাইজ) একই মালিকানাধীন অফিস কর্মরত থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সর্ম্পক গড়ে উঠে। তারই সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে হাওলাত হিসেবে টাকা লেনদেন হয় তাদের মধ্যে। প্রয়োজন হলেই টাকা ফেরত দেওয়া কথা বলে টাকা নিলেও সম্প্রতি সে টাকা না দিয়ে প্রতারণা শুরু করে। সে বিগত মে ২০১৭ইং পর্যন্ত গুইমারাস্থ ডাচবাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মালিক ফিরোজ হাসান ও ইসমাইল হোসেন রাসেল ও রাশেদ এর কাজ থেকে ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার অজুহাতে দফায় দফায় হাওলাতি ঋন হিসেবে সর্বমোট ৬,০০,০০০ (ছয় লক্ষ) টাকা গ্রহন করে।
গত ১৫ আগষ্ট ২০১৭ তারিখে ধার টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বর্তমানে তা অমান্য করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সে। এ নিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার পরিবার এ বিষয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা না করে খারাপ আচারণ করার অভিযোগ করেন অভিযোগকারী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল করিম এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে বিষয়টি নিয়ে পাওনাদার রাশেদ খন্দকার বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করলে খাগড়াছড়ি সদর থানায় দু’পক্ষকে ডেকে পাওয়া টাকার বিষয়ে বৈঠক করলে বিবাদী ৩১ আগষ্ট ২০১৭ তারিখে প্রথম বৈঠকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার বলেন, টাকা আমি নিয়েছি সত্য তবে তা পরিশোধ করেছি। পরিশোধের কোন প্রমাণাধী আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অফিসার ইনচার্জ এর সম্মূখে কোন কাগজপত্র নেই জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী দিদারুল আলম দিদার,সাংবাদিক নুরুল আলম,খাগড়াছড়ি পৌর সভার সাবেক মেয়র জয়নাল আবদীন,এএসআই আবুল হোসেন প্রমূখ।
পরে ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার সন্ধ্যায় সে ২য় বৈঠকে পাওনাদার রাশেদ খন্দকারের নিকট আড়াই লক্ষ টাকা পরিশোধের একটি জাল স্বাক্ষরিত কাগজ প্রর্দশন করে। এক পর্যায়ে বৈঠকে তা সুরাহা করতে না পেরে আদালতের মামলা করে জাল কাগজ সৃজনের বিষয়টি পরিক্ষা করলে আব্দুল করিম আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আদালতের স্বরনাপর্ণ হওয়ার পরামর্শ দেন।