নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়িতে আলোচিত ইতি চাকমা হত্যার জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার অভিযুক্ত আসামি তুষার চাকমা। খাগড়াছড়ি আমলি আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মো: নোমানের আদালতে হাজির করা হলে সোমবার বিকালে তুষারকে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পরে বিচারিক আদালতের হাকিম তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জবানবন্দিতে সে জানায়, প্রেমের সম্পর্ক প্রত্যাক্ষাণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজে পড়–য়া কলেজ ছাত্রী ইতি চাকমাকে তুষারসহ ৫জন এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয়।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাউদ্দীন জানান, তুষারের বন্ধু রনি চাকমার সঙ্গে ইতি চাকমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে ইতি অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুললে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পরিবারের অন্য সদস্যের অনুপস্থিতিতে রনি ও তুষারসহ পাঁচজন মিলে ইতিকে শ্বাসরোধ ও জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও এ সময় তিনি জানান।
ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং পরবর্তী সময়ে সিআইডির সহায়তায় প্রমাণের ভিত্তিতে তুষারকে আটক করা হয়। হত্যাকান্ডকে ভিন্নদিকে প্রভাবিত করতে হত্যাকারীরা পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ-সমর্থিত পিসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনেও অংশ নেয় বলে জানান।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, গোপন অভিযান চালিয়ে রোববার খাগড়াছড়ি জেলা শহরের চেঙ্গী এস্কয়ার এলাকা থেকে তুষারকে আটক করা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকার ভগ্নিপতির ভাড়া বাসা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ইতি চাকমার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তুষার নিজেও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানা যায়।