প্রতিবাদে উত্তাল খাগড়াছড়ি
ফোরকানুল হক সাকিব,স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার সিন্ধুকছড়ি তৈর্কমা লিচু বাগান এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এক মোটরসাইকেল চালকের হাত পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম রবিউল হোসেন(২৬) পিতা-আব্দুল মান্নান গ্রাম-উত্তর গুইমারার হাজি পাড়ায়। সে গুইমারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি।
আমাদের গুইমারা সংবাদদাতা শাহীন আলম জানান, গুইমারা লাশ পাওয়ার পর পরে স্থানীয় বাঙ্গালীরা হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে জালিয়াপাড়ায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় পুুলিশ বাঁধা দিলে স্থানীয়দের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। জানা গেছে, সোমবার সকালে রবিউল মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি। সারাদিন অনেক খোজাখুজির পর তার হাত-পা ও মূখ বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। সে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিল। গুইমারা থানার ওসি জুবায়েদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশটি উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ মাঠে রয়েছে।
ডেক্স রিপোর্ট: রবিউল হত্যার ঘটনায় বিএনপির নিন্দা- গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন তৈকরমা লিচু বাগান নামক স্থানে রবিউল (২৭)কে সন্ত্রাসীরা কর্তৃক নির্মমভাবে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি। সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরো অভিযোগ করা হয়। এ সরকারের আমলে প্রতিনিয়ত স্বশস্ত্র গ্রুপ গুলোর চাঁদাবাজি, মুক্তিপন আদায় ও হত্যা করে চলছে। এ নিসংশ্ব মানুষ হত্যা ও লাশের মিছিলের সমর্থন করতে পারি না। আমরা এ সরকার ও তার প্রশাসনকে এ জাতীয় অমানবিক কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপন আদায় ও হত্যাকান্ড বন্ধ করে স্বশস্ত্র গ্রুপগুলো থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের আহ্বান জানান। এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রবিউলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান দলটি।
সম অধিকার আন্দোলনের প্রতিবাদ-এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খাগড়াছড়ি সম-অধিকার আন্দোলন সকল হত্যাকান্ড বন্ধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার দ্রুত শুরু না করলে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে বৃহত্তর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী জানিয়ে এ হত্যাকান্ড ও ঘৃনীত কাজ অতিসত্তর বন্ধ না হলে পাহাড়ে তীব্র আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা দেন।