আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত জনপদ তাইন্দং ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য এয়াছিন মেম্বার মৃত্যুর প্রায় ১৬ বছরেও তার পরিবারের খবর নেয়নি কেউ। ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর নির্বাচন পরবর্তী বিএনপির সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার এ নেতার পরিবার অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটালেও এ ত্যাগী,নিবেদীত প্রাণ নেতার খবর নেওয়ার কেউ নেই খাগড়াছড়ি জেলায়। কিন্তু কোটি কোটি টাকা আয় করে দামী গাড়ী হাকিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত আওয়ামীলীগ নেতা।
অবশেষে শনিবার তাইন্দং এর বিডিপাড়ায় দলের জন্য প্রাঁণত্যাগী নেতার খোঁজ খবর নিয়ে গিয়ে তার পরিবার ও রেখে যাওয়া দুই মেয়ের লেখাপাড়ার দায়িত্ব নিলেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার। এ সময় নিহত এয়াছিনের স্ত্রী জহিরন বেগমের হাতে তিনি ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এছাড়াও নগদ ১৪ হাজার টাকা তার পরিবারের হাতে তুলে দেন তিনি।
এ সময় তিনি যে কোন সময় সমস্যায় নিহতের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিসহ যোগাযোগ করার কথা জানান এবং নিহত ইয়াছিন মেম্বারের কবর জিয়ারত করে নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করে দিদারুল আলম ও দলীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়াও দিদারুল আলম দিদার অসুস্থ তাইন্দং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল হাশেমের খোজ খবর নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন এবং বিভিন্ন নেতাকর্মীদের পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে খোজখবর নেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দির ফিরোজ, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নির্মল ত্রিপুরা,সাংগঠনিক সম্পাদক থইমং মারমা, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাঈনুল ইসলাম,নুরুল আলম রণি,ফারুক আহম্মদ প্রজ্ঞাবীর চাকমা,ইমাম হোসেন মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয় মারমা,দপ্তর সম্পাদক সাহাব উদ্দিন পলাশ,পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক কোরবান আলী, মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্মলীগের জেলা সভাপতি কৌশল চাকমা, খাগড়াছড়ি পৌর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি উজ্জ্বল মারমা প্রমূখ।
উল্লেখ যে, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি সরকার আমলে বাড়ী ঘেরাও করে যুবলীগ নেতা ইয়াছিনের বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিলে প্রাঁণ বাঁচাতে সে বাড়ী থেকে বের হওয়ার চেষ্টাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেন।