নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি:: খাগড়াছড়ির রামগড়ের নোয়াপাড়া এলাকায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণকারী পাষন্ড সেই পিতা আবুল কাশেম প্রকাশ শিয়াল কাশেম মামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেপ্ততার হয়েছে। শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ির আদালত চত্তর থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ২০ জুলাই মেয়ের চাচা ওমর ফারুক বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা দায়ের পর মেয়েকে ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতার দায়ে এজাহারভুক্ত অপর আসামী মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়।
রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ তারেক মো: আবদুল হান্নান জানান, ঘটনার পর পুলিশ আসামী আটকের জোর চেষ্টার পর খাগড়াছড়ি আদালত চত্তর থেকে বিশেষ কৌশলে চদ্মবেশী পুলিশ আসামীকে আটক করে।
প্রসঙ্গত, মায়ের সহযোগিতায় মাদরাসা পড়ুয়া নিজের ঔরশজাত মেয়েকে ধর্ষন করে পিতারূপী এক নরপশু। গত ২ জুলাই রাতে জোরপূর্বক প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। পিতার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি পিতার যৌন লালসার শিকার ওই মেয়েটি।
সবশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণ করতে গেলে সে তার সাথে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতে বলে। ধর্ষনের সময় সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরতো। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে মেয়েকে গলাটিপে হত্যার ভয়ভীতি দেখাতো তার পিতা।
বিষয়টি গত ১৪ জুলাই তার চাচা ওমর ফারুককে পিতার যৌন লালসার শিকারেরর কথা জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে গেলে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এতে মেয়েটি একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা মাও স্বীকার করে। ঘটনাটি জানাজানির পর থেকে পলাতক ছিল দিনমজুর পাষান্ড পিতা আবুল কাশেম ।